বরিশাল

চরবাড়ীয়ায় ইয়াবা সেবনের প্রতিবাদ করায় যুবকের পরিবারের উপর হামলার অভিযোগ

  প্রতিনিধি ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ , ৫:৩৬:০৩ প্রিন্ট সংস্করণ


*মাদকের গন্ধে অসুস্থ তিন বছরের শিশু    *হকিস্টিকের আঘাতে রক্তাক্ত প্রতিবেশী    *৯৯৯এ কল করে রক্ষা পেল পরিবার


তালাশ প্রতিবেদক ॥
কাউনিয়া থানাধীন বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়ীয়া ইউনিয়নের তালতলী ট্রান্সমিটার এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় ইয়াবা সেবন, মাদক ব্যবসা ও হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ইমরান সরদার নামে এক ভুক্তভোগী কাউনিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

 

 

ভুক্তভোগী ইমরান সরদার জানান, গত ১ ডিসেম্বর রাত ১১টার দিকে তার ভাড়া বাসার পাশের কক্ষে বসে নিয়মিত ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক সেবন ও মাদক কারবার চালিয়ে আসছেন স্বপন ফরাজী (৪৪), সোহান (৩০), বাবু (৩০) ও আরও চারজন অজ্ঞাত ব্যক্তি। প্রতিবেশী হওয়ায় প্রতিদিন তাদের মাদকের গন্ধে আমার তিন বছর বয়সী ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়ে। বিষয়টি বাইরে গিয়ে করতে অনুরোধ করলে বিবাদীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।

 

 

ইমরান আরও জানান, প্রতিবাদ করায় উল্লেখিত বিবাদী এবং বাড়ির মালিক আলম ও তাঁর ছেলে রাতুলসহ কয়েকজন তাঁর ভাড়া বাসায় এসে হামলা চালায়। এ সময় তাঁর স্ত্রী এবং সন্তানকেও মারধর করা হয় এবং বাসার আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। হামলার এক পর্যায়ে বিবাদীদের হাতে থাকা হকিস্টিকের আঘাতে ইমরানের মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে। তাঁদের উদ্ধার করতে এগিয়ে এলে স্থানীয় সুমন খানও হামলাকারীদের আঘাতে রক্তাক্ত হন।

 

 

ঘটনার সময় ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভুক্তভোগী পরিবারকে উদ্ধার করে এবং স্থান পরিদর্শন করে। পুলিশ আসার খবর পেয়ে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় তারা ভুক্তভোগী পরিবারকে প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকিও দেয় বলে অভিযোগ করেছেন ইমরান।

 

 

এ-সময় ইমরান আক্ষেপ করে বলেন, স্বপন ফরাজী একসময় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহতাব হোসেন সুরুজের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তার নির্বাচনী কার্যক্রমে সবসময় সক্রিয় ছিলেন। এখনো কীভাবে দাপিয়ে বেড়ান বুঝতে পারি না। আরেক অভিযুক্ত বাবু সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর ছত্রছায়ায় ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন।

 

 

অভিযুক্ত স্বপন ফরাজী বলেন- আমরা কোনোভাবেই মাদক সেবন কিংবা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নই। তবে সেদিন আমার আত্মীয়ের বাসায় বসে ভুল বোঝাবুঝির কারনে হাতা হাতি হয়। তখন একজনের মাথার চামড়া উঠে যায়। সোহান ও বাবু সহ কয়েকজনের উপস্থিতির কথা স্বীকার করেন।

 

তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- আমি শ্রমিকদল করি। এলাকায় আমি জমির ব্রোকার। তাই আমি পেটের দায়ে ২০১৮ সালের নির্বাচন থেকে তার সাথে ছিলাম। তবে যে ছবির কথা বলছেন তা এডিট করা।

 

অপর অভিযুক্ত সোহান ও বাবুকে মুঠোফােনে পাওয়া যায়নি।

আরও খবর

Sponsered content