বরিশাল

একটি সঙ্ঘবদ্ধ চক্রের ষড়যন্ত্রের শিকার সাজ্জাদ!

  প্রতিনিধি ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ৬:৫৬:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ

তুফান মাহমুদঃ
রাজনীতির মঞ্চে প্রকৃত নেতৃত্বের পরিচয় মেলে দুঃসময়ে। যখন দল নিপীড়নের শিকার হয়, নেতাকর্মীরা হয়রানির ভয়ে ঘরে আশ্রয় নেন, তখন যারা বুক চিতিয়ে মাঠে দাঁড়ান তারাই প্রকৃত নেতা। বরিশাল জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ শহিদুল ইসলাম সাজ্জাদ ঠিক তেমনই এক সাহসী নেতার প্রতিচ্ছবি।
বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা স্বীকার করেন, দলের সবচেয়ে কঠিন সময়ে সাজ্জাদ সব কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। মিছিল-মিটিং, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন কিংবা মাদকবিরোধী আন্দোলন, সবক্ষেত্রেই তাকে সামনে দেখা গেছে। এ কারণেই তৃণমূল নেতাকর্মীদের কাছে তিনি আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন।
কিন্তু দুঃখজনক হলো, এই জনপ্রিয়তাই আজ তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। একের পর এক মিথ্যা মামলা, ষড়যন্ত্র ও প্রতিহিংসামূলক অভিযোগের  শিকার তিনি। সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সহযোগী এক ব্যক্তির মামলায় তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছিলো। আবার এলাকাবাসীর উদ্যোগে মাদকবিরোধী মানববন্ধনে অংশ নেওয়াকে কেন্দ্র করে সাজ্জাদের বিরুদ্ধে অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন ধর্ষণ চেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঘটনাটি ছিল চরম অমানবিক। এলাকাবাসী যখন বরিশাল সদর উপজেলার চরআবদানী গ্রামের কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী কামাল ওরফে গাজা কামাল এবং তার স্ত্রী নাসিমাসহ পরিবারের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেন, তখন সাজ্জাদ সেই আন্দোলনে সামনে থেকে ভূমিকা রাখেন। এর পরপরই নাসিমা প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে সাজ্জাদসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ভুয়া ধর্ষণ চেষ্টা মামলা দায়ের করেন। অথচ স্থানীয়দের অভিযোগ অনুযায়ী, বহুদিন ধরেই কামাল-নাসিমা দম্পতি প্রকাশ্যে ইয়াবা ও গাঁজার ব্যবসা চালিয়ে আসছেন এবং তাদের নামে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। সাজ্জাদ কেবল সেই অপরাধের প্রতিবাদ করেছিলেন বলেই আজ তিনি মামলার আসামি।
আমরা দেখেছি, সমাজে যখন অন্যরা নীরব থেকেছে, তখন সাজ্জাদ মাদকবিরোধী আন্দোলনের শীর্ষে দাঁড়িয়েছেন। যুবসমাজকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে তিনি সরব হয়েছেন। ফলে মাদকচক্র ও তাদের পৃষ্ঠপোষকরা ক্ষিপ্ত হয়ে তার বিরুদ্ধে নোংরা কৌশল অবলম্বন করছে।
আজ প্রশ্ন হলো, দলের দুঃসময়ে যিনি সাহসী ভুমিকা রাখেন, তাকে যদি ষড়যন্ত্রের ফাঁদে ফেলে কারাগারে পাঠানো হয় তবে সাধারণ কর্মীরা কী বার্তা পাবে? এভাবে কি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে দমন করা সম্ভব?
শেখ শহিদুল ইসলাম সাজ্জাদ প্রমাণ করেছেন, রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য শুধু ক্ষমতা নয়, প্রয়োজন সাহস, সততা ও জনগণের সঙ্গে হৃদয়ের সম্পর্ক। এই সম্পর্কই তাকে আজ জনপ্রিয়তার শীর্ষে তুলেছে। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা ভুলে যাচ্ছে, জনপ্রিয় নেতাকে জেলখানায় রাখা গেলেও মানুষের হৃদয় থেকে তাকে মুছে ফেলা যায় না।
জনগণের প্রত্যাশা, প্রশাসন নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনবে এবং মিথ্যা মামলার ফাঁদ থেকে নির্দোষ নেতাকে মুক্তি দেবে। গণতান্ত্রিক সমাজে ভিন্ন মতকে দমন নয়, বরং শ্রদ্ধা করা উচিত।
উল্লেখ্য, কামাল ও তার স্ত্রী নাসিমার বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। সর্বশেষ গত মাসে মানববন্ধন করার তিন ঘন্টার ভিতরে মাদকসহ কামাল আটক হন।

আরও খবর

Sponsered content