প্রতিনিধি ২২ অক্টোবর ২০২৫ , ৩:৫৯:৩৭ প্রিন্ট সংস্করণ
প্রশাসনের গতিবিধি জানায় ২৫-৩০ জনের সংঘবদ্ধ চক্র
তালাশ প্রতিবেদক॥
বরিশাল সদর উপজেলার গিলাতলি আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দারা প্রকাশ্যে মা ইলিশ শিকার করছে এমন অভিযোগে তোলপাড় স্থানীয় এলাকাজুড়ে। আশ্রয়নকেন্দ্রের পেছনের দিকে কীর্তনখোলা নদীর পাড়ে কলা গাছের ভেতরে গড়ে উঠেছে একটি গোপন ঘাঁটি। সেখান থেকে প্রতিদিন নারী-পুরুষসহ ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি সংঘবদ্ধ চক্র ২৪ ঘণ্টা অবস্থান করে জেলেদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে এবং প্রশাসনের গতিবিধি নজরে রাখছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

নদীতে অভিযান চালানোর আগে প্রশাসনের উপস্থিতির খবর পেয়ে যায় এ চক্রের সদস্যরা। তারা মুঠোফোনে জেলেদের খবর দিয়ে নদী থেকে জাল ও নৌকা সরিয়ে ফেলতে সহায়তা করে। ফলে অভিযান দল ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই সবকিছু গায়েব হয়ে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “আশ্রয়ন প্রকল্পের কয়েকটি ঘরে এখন মূলত মা ইলিশ শিকারিদের ঘাঁটি গড়ে উঠেছে। দিনের বেলায় তারা নিরীহ জেলে সেজে থাকে, রাতে নদীতে নামে জাল ফেলতে। আর অভিযানের সুরু থেকে কলা গাছের ভেতরে গড়ে উঠেছে একটি গোপন ঘাঁটি। সেখান থেকে প্রতিদিন নারী-পুরুষসহ ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি সংঘবদ্ধ চক্র ২৪ ঘণ্টা অবস্থান করে জেলেদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে এবং প্রশাসনের গতিবিধি নজরে রাখছে। ”
মৎস্য বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসনের শিথিল তদারকির কারণে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ শিকার অব্যাহত রয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এর ফলে কীর্তনখোলা নদীতে মা ইলিশের প্রজনন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পরিবেশ ও মৎস্য বিশেষজ্ঞরা।
বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ বলেন, “আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। যদি আশ্রয়ন এলাকায় এমন কার্যক্রমের প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”










